কক্সবাজার রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের রাবেতা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। এতে এলাকার প্রায় শত একর ফসলি জমিতে পানি না পেয়ে চাষিরা ধান বাঁচানো নিয়ে হতাশায় পড়েছে । অবৈধভাবে বালু হচ্ছেন ধেচুয়াপালং এর মৃত মো. ইসলামে ছেলে আবদুল মালে ও আব্দু ছালাম (বাদল), ধোয়াপালং এর মৃত মোহাম্মদের ছেলে আব্দুল গফুর, তারা খুনিয়া পালং ইউনিয়নের স্হায়ী বাসিন্দা। চাষা জয়নাল আবদীন বলেন, রাবেতা নদীর পানি দিয়ে শত একর জমিতে চাষ হয়, বালু উত্তলন কারিরা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তলন করতে গিয়ে এইবারে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। .
চাষা মো. হোসেন বলেন, আব্দুল মালেক ও তার ভাই আব্দু ছালাম (বাদল) উপরে পানি বন্ধ করে দিয়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তলন করতে গিয়ে মিলছে না ধান বাঁচানোর পানি। চাষা ফকির চদ্র শার্মা বলেন, আমারা যারা রাবেতা নদীর পানির উপর নির্ভর করে ধান চাষ করে আসছি, তাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় নেই?। .
অবৈধ বালু উত্তলন কারি আবদুল মালেক ও তার ভাই আব্দু ছালাম (বাদল),এবং আবদুল গফুর মিলে ড্রেজার মেশি বসিয়ে বালু উত্তলন করতে গিয়ে নদীর উপরের দিকে পানি বন্ধ করে দেয়। এতে রাবেতা নদী নিচের দিকে যারা চাষিরা প্রতি বছরের নেয় এই বছরও ধান চাষ করেছেন তাদের গলায় রসি লাগিয়ে মৃত্যু ছাড়া বিকল্প দেখছি না। .
কারণ সারা বছরের এক মাত্র উৎস ধান চাষ, এই ব্যপারে চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। জানতে চাইলে খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হক বলেন, আমার কাছে ৫-৬ জন চাষা অভিযোগ করেলে, আমি তাদেরকে বাধা দেয়, তার বাধা অমান্য করেন। পানি ছেড়ে দেয়ার কথা বল্লেও বালু খেখোরা কোন ধরনের তোয়াক্কা না করে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। .
তারা এলার প্রভাবসালি বলে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পাইনা। তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আমার অনুরোধ, অবৈধ বালু উত্তলন কারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে আমার ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ কৃষকদের প্রান ফিরিয়ে দেন। .
খুনিয়াপালং এর স্হানীয় সচেতন মহলের এক মাত্র জোর দাবি, অবৈধ বালু উত্তলন কারিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।. .
ডে-নাইট-নিউজ / স্টাফ রিপোটার কক্সবাজার
আপনার মতামত লিখুন: